ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলে বুলুসান আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে বিশাল এলাকা ঘন কালো মেঘ ও ছাইয়ে ঢেকে গেছে। আগ্নেয়গিরির কারণে নিকটবর্তী শহরগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
গতকাকাল (৫ জুন) কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য আরও অগ্ন্যুৎপাতের বিষয়ে সতর্ক করেছে। বার্তা সংস্থা রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ফিলিপিন্স ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, সোরসোগন প্রদেশের বুলুসান আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত প্রায় ১৭ মিনিট স্থায়ী হয়।
আগ্নেয়গিরি ইনস্টিটিউটের প্রধান রেনাটো সলিডাম বলেছেন, কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যেই বিপদজনক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। আগ্নেয়গিরির বিপদের সর্বোচ্চ মাত্রা ধরা হয় ৫। টাল আগ্নেয়গিরির বিপদের মাত্রা ৪ নম্বর স্তরে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, আগ্নেয়গিরিতে বিপদজনক বিস্ফোরণ চলছে। এই বিস্ফোরণ বেশ বড় অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে।
কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না-গেলেও কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করেছে। রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে সোরসোগনের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, দুটি শহরের ১০টি গ্রাম ছাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জুবান শহরের বাড়ি, রাস্তা এবং গাছগুলো ছাইয়ে ঢেকে গেছে। ঝাপসা দৃষ্টিসীমার কারণে যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে বেশ অসুবিধায় পড়েছে।
বাতাসে ছড়িয়ে পরা ছাই থেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ম্যানিলা ও এর আশপাশের শিক্ষা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ছোট আগ্নেয়গিরির একটি ‘টাল’, যা ফিলিপাইনের প্রায় দুই ডজন জীবন্ত আগ্নেয়গিরির একটি।
প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন বা ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানায় এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশে পরিণত হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।